
এইচ এম জালাল উদ্দীন কাউছার, উখিয়া;
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব খেওয়াছড়ি গ্রামের শত শত মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গ্রামে নেই কোনো পাকা রাস্তা কিংবা ব্রীজ। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো একটি বাঁশের সাঁকো। বর্ষা মৌসুমে থিমছড়ি খালে পাহাড়ি ঢল নামলে সেই সাঁকোটিও পানিতে তলিয়ে যায়, ফলে পুরো গ্রাম কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় যুবক আব্দুল মান্নান জানান, “আমাদের গ্রামে কয়েক শতাধিক মানুষের বসবাস। গত ১৫ বছর ধরে আমরা চরম দুর্ভোগে আছি। এলাকার ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ও মাদ্রাসায় যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মকালে কিছুটা চলাচল করা গেলেও বর্ষা এলে একেবারেই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।”
তিনি আরও বলেন, “গতকাল একজন মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যেতে গিয়ে সবাইকে কোমর পানিতে নামতে হয়। বাজারে যাওয়া, চিকিৎসা সেবা কিংবা একজন গর্ভবতী নারীর চলাফেরা—সবকিছুতেই সীমাহীন কষ্ট হয়। অ্যাম্বুলেন্স বা সিএনজিও ঢুকতে পারে না।”
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় ব্রীজ বরাদ্দ এলে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় নেতাদের কারসাজিতে তা অন্যখানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।”
এ অবস্থায় এলাকাবাসী উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, পূর্ব খেওয়াছড়ি গ্রামে একটি পাকা রাস্তা ও একটি সেতু নির্মাণ করা হলে শত শত মানুষের জীবন চলাচল স্বাভাবিক হবে।