
বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হয় এবং ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি তার বসবাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কবিকে ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং একই বছরে একুশে পদক দেওয়া হয়। কবির জীবনাবসানের পর তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কলকাতার এলবার্ট হলে এক অনুষ্ঠানে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের উপস্থিতিতে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারি’ ও ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীরা তাকে জাতীয় কবি হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে এবং কবির মর্যাদাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কবিকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।
জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগেই বাংলাদেশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে কবিকে জাতীয় কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
এ গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেন।