Thursday, July 3, 2025
PalongTV OnlinePalongTV Online
HomeBlogচট্টগ্রামের বিমান টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রবাসীর

চট্টগ্রামের বিমান টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রবাসীর

ইয়াছির আরাফাত খোকন, বিশেষ প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম হাটহাজারি উপজেলার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী এস এম মোদাচ্ছের শাহ, গত ২২ আগস্ট দেশ থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি টিকিট করেন চট্টগ্রামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে।পরবর্তীতে বিশেষ প্রয়োজনে টিকিটের তারিখ পরির্তনের প্রয়োজন দেখা দেয় মোদাচ্ছের শাহ’র। ওই সময় আবারও যোগাযোগ করেন ট্রাভেল জোন নামক ওই এজেন্সির সঙ্গে। তবে টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতে দিতে হবে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এই গ্রাহক তাদের দাবিকৃত টাকা না দিয়ে যোগাযোগ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম অফিসে সরাসরি ও পরিচিত একজনের মাধ্যমে, তারা অপারগতা প্রকাশ করেন, তবে তেমন কোন ফল না পেয়ে যোগাযোগ করেন দুবাই অফিসে সেখানে ও ব্যর্থ হন, তবে বহু চেষ্টার পরেও টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতে পারেনি খোদ বিমানের নিজস্ব দু’টি অফিস। অথচ টাকা দিলেই মুহূর্তে তারিখ পরিবর্তন করে নতুন টিকিট করে দেয় ট্রাভেল এজেন্সি।
এ প্রসঙ্গে মোদাচ্ছের শাহ এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, “দুটি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, ‘ট্রাভেল জোন’ নামক ট্রাভেল এজেন্সি টিকিট লক করে রেখেছে। সাথে পিএনআর ব্লক করে রেখেছে। পরবর্তীতে তাদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিবর্তন করে দেবে বলে জানায়। তবে তার জন্য দিতে হবে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমি টিকিট করে দেয়ার জন্য চাপ দিলে অনেক বাক বিতণ্ডার পর টাকার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে আট হাজার টাকা দিতে বলে। আমি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ হাজার টাকা দিয়ে টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করেছি। আমার মনে হয়েছে, মূলত প্রবাসীদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়াটাই তাদের ব্যবসা।’ তিনি আরো বলেন চট্টগ্রামে টিকেটের একটা বিশাল সিন্ডিকেট আছে বলে শুনেছি ১০/১২ জনের এই সিন্ডিকেটই নির্ধারন করে টিকেটের প্রাইজ কি হবেই। তারা গ্রুপ টিকিট একসাথে কিনে বাজারে টিকিট কিত্রিম সঙ্কট করে , কিন্তু বিমানে বসলে দেখা যায় অনেক সিট খালি, পরবর্তীতে মানুষকে জিম্মি করে বড় এমাউন্টে বিক্রি করে, পরিবর্তনের জন্য তাদের নির্ধারিত এমাউন্ট দিতে হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি মোদাচ্ছের শাহ আরও জানান , প্রবাসীর অনেকদিন থেকে এই কলোবাজারীদের কাছে জিম্মি, সিন্ডিকেটের সাথে বিমানের অনেক অফিসার জড়িত বলে মনে করি, তাদের আয় বহিঃ: সম্পদ দেখেলে হয়ত তলের বিড়াল বেরুবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মোদাচ্ছের শাহ। অভিযোগ আমলে নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাত।
মোদাচ্ছেরও শাহ বলেন আশাকরি এর একটা সমাধানের মাধ্যমে প্রবাসীরা সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি পাবে

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments