
পেকুয়া প্রতিনিধি:
সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে কাজ করে চলা তরুণদের সংগঠন সাসটেইনেবল অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফর ইকো-ফ্রেন্ডলি ডেভেলপমেন্ট (SEED)–এর নবম কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিনহাজুল ইসলাম মিনার, আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তাওসীফ শাহরিয়ার।
গত ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের অভ্যন্তরীণ সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও সদ্যবিদায়ী অষ্টম কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতারা।
২০১৯-২০ সালে কৈশোরকালেই পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয়ে তাওসীফ শাহরিয়ার তাঁর কিছু বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম ‘SEED’। এই উদ্যোগের সূচনালগ্ন থেকেই যুক্ত ছিলেন মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোহাইমিন মোস্তফা নাবিল। পরে তাদের সঙ্গে একে একে যুক্ত হন শারাফাত উল্লাহ তানভীর, আব্দুল আউয়াল মানিক, জয়নাল আবেদীন ছোটন, নুজহাদ আজাদ কাপি, হাবিবুল করিম তানিম, ফরহাদ উদ্দিন ইফতিয়ার, রাকিবুল হাসান মুরাদ, শাহরিয়ার কবিরসহ আরও অনেকে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই SEED পরিবেশ সংরক্ষণ, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিক্ষা সহায়তা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালাসহ নানা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।
বর্তমানে সংগঠনটি ছয়টি বিভাগে কাজ করছে—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসা ও প্রচার। প্রতিটি সদস্য তাঁর আগ্রহ ও দক্ষতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিভাগে অবদান রাখছেন।
২০২১ সালে ‘Crafting Tomorrow, Together’ স্লোগান নিয়ে নতুন কর্মপন্থায় যাত্রা শুরু করে SEED। এর লক্ষ্য ছিল একটি সৃজনশীল ও সংগঠিত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, যেখানে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নবগঠিত কমিটিতে আরও রয়েছেন দপ্তর সম্পাদক সাইফুল্লাহ খালেদ এবং কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
নতুন নেতৃত্বের অধীনে সংগঠনটি সামনে বেশ কিছু উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরিবেশ সংরক্ষণমূলক ক্যাম্পেইন, সামাজিক উদ্যোগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি, তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন।
SEED এখন আর শুধুই একটি সংগঠন নয়—এটি হয়ে উঠেছে একটি চেতনার নাম। তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই প্ল্যাটফর্ম সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে। তাদের কার্যক্রম প্রমাণ করে, সৎ উদ্দেশ্য, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং সৃজনশীল নেতৃত্ব থাকলে তরুণরাই হতে পারে পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি।