
মো. আরকান, পেকুয়া;
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজাখালীর বকশিয়াঘোনা এলাকায় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে উপকূলীয় সাহিত্য ফোরাম।
উপকূলীয় সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহেদুল আলম রিফাতের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবু জাফর এম.এ, সদস্য সচিব আবুল বশর বাবু, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ উল্লাহ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সিপিপি’র ইউনিয়ন টিম লিডার আহমদ কবির আজাদ, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি এস.এম. আমিন উল্লাহ, সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারের প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য সাইদুল ইসলাম রোমানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, প্রতিবছর জোয়ার-ভাটার কারণে নদী ভাঙন, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন রাজাখালীর হাজারো মানুষ। অথচ ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর ৩৪ বছর কেটে গেলেও এখানে এখনো নির্মাণ হয়নি একটি টেকসই বেড়িবাঁধ। তারা অবিলম্বে রাজাখালীর বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ও ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ১৯টি জেলার ১০২টি থানা ও ৯টি পৌরসভায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন প্রাণ হারান। নিখোঁজ ছিলেন ১২ হাজার ১২৫ জন, আহত হন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। প্রায় ২০ লাখ মানুষ গৃহহারা হন। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ছিল আরও ভয়াবহ।
স্মরণে দিনটি এলেও বাস্তবতায় এখনো টেকেনি উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা। জোয়ার-ভাটার তীব্রতায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে রয়েছেন রাজাখালীর হাজারো পরিবার।