
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সব পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা অনুযায়ী, আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং ১৩৮৭ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের পর গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমি আজকেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছি। তাদের বলেছি, আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে যেন তারা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে।”
রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ সকল ধর্ম, নৃগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির মানুষের দেশ। এই সময়টা উৎসবের সময়—আমরা বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছি, আজ এসেছি রাখাইনদের সাংগ্রেং-এ। আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।”
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মিয়ানমার সরকার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে—এটি বর্তমান সরকারের একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন। এটি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
রাখাইনদের সাংগ্রেং বা জলকেলি উৎসবে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালকসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।