নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোহাম্মদ বাদশাহর পুত্র কোটা সংস্কার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রাম বহদ্দার হাটে নিহত চট্টগ্রাম আশেকানে সরকারী আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারের চিংড়ি মাছের ফিশিং ও বীর নিবাসে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবার।
তানভীরের পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্টানের চিংড়ি মাছের ফিশিং, দোকানপাঠ ও বীর নিবাস ভেঙে জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের গডফাদারদের ছত্রছায়ায় থাকা কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার ফকিরজুম পাড়া কেন্দ্রীক আর্দশ গ্রাম পরিচালনা কমিটি নামে ক্লাস বাহিনীর গ্যাং লিডার জুয়েলের বিরুদ্ধে। এসময় তারা একই কায়দায় কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
শনিবার (৬ অক্টোবর ) সন্ধ্যা ৬টার সময় মহেশখালীতে এক সাংবাদিকদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এসময় শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা বাইতুল্লাহ মোস্তফা অভিযোগ করেন
তাঁদের পারিবারিক শাহ আমানত ফিশিং ও মোহাম্মদ শাহঘোনা তানবীরের বীর নিবাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বর। তিনি বলেন ফকিরজুম পাড়ার শান্তি কমিটি নামে ক্লাস কমিটির আওয়ামীলীগ দুষরদের ছত্রছায়ায় থাকা গডফাদার জুয়েল এর নেতৃত্বে শহীদ তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার আসামী তারেক চেয়ারম্যান, মাস্টার মাইন্ড নোমান শরীফ ও কালাবদা নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন সন্ত্রাসীদের মহড়া চলাকালে ভিড়িও ফুটোজ বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য কল্যাণ সংস্থার সদস্যদের উপহার দেওয়া শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বীর নিবাস ভাঙচুর করেন। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানাই। একই অভিযোগ করেন তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই মোহাম্মদ আলী মাতাব্বর।
তিনি বলেন বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আসামিরা আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের নানারকম হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮ টা থেকে গভীর রাত ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। লুটপাঠ তাণ্ডব চলাকালে তারা কালারমারছড়া বাজারে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত দোকান পাঠ বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।
পরে খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চলছে। আর অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালীতে কর্মরর্ত নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট সাইফুজ্জামান জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান যে কোন মুর্হুতে গ্রেপ্তার করা হবে।