
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন শহর, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন এবং সৈকতের স্ট্রিট ফুড উপভোগ করেন। কিন্তু এই সেক্টরে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার অভাব পর্যটকদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এই বাস্তবতা বিবেচনায়, কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত আরএমটিপি হেলদি স্ট্রিটফুড প্রকল্পের আয়োজনে “হাইজিন প্রমোশন ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় আইন” বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার পৌরসভা, মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট এবং স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের প্রতিনিধিগণ।
২৬ জুন সকালে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজার সৈকত এলাকায় স্ট্রিট ফুড বিক্রির মান উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিরাপদ উপায়ে খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশন এবং খাদ্য বিক্রয় আইনের সঠিক প্রয়োগ—এই চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে খাদ্য আইন ও বিক্রয়কারীদের দায়িত্ব—কর্তব্য ব্যাখ্যা করে বলা হয় নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৫ টি নিয়ম পালন করলে তারা স্থায়ী ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। জেলা প্রশাসন এবং বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং এবং সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জ যেমন— পর্যাপ্ত বিক্রয় স্থান না থাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের অভাব, এবং স্বাস্থ্যবান্ধব সরঞ্জামের সংকট—এই সব সমস্যা তুলে ধরেন। তারা জানান যে, সহায়ক পরিবেশ ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ পেলে তারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি করতে আগ্রহী এবং সচেষ্ট।
সভায় হাইজিন নিশ্চিত করতে অ্যাপ্রন, হেয়ার কভার, গ্লাভস, ডাস্টবিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে প্রস্তাব আসে, এবং বিক্রেতাদের আইনি রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার প্রাথমিক পরিকল্পনার কথাও আলোচিত হয়।
এই সমন্বয় সভাটি একদিকে যেমন সরকারি, বেসরকারি ও বিক্রেতা পর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সমঝোতা বৃদ্ধির একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে, তেমনি কক্সবাজারে একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্ট্রিট ফুড সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে।