
আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লেবুতলী গ্রামে ‘সোর্স’ সন্দেহে মিজানুর রহমান (২৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনীর এক সদস্য। নিহত মিজানুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আবদুশ শুক্কুরের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে লেবুতলীর আলী আকবর বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবদুর রহিম পেছন থেকে এসে দা দিয়ে মিজানুরকে কোপ দেন এবং পরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের সময় রহিম বলেন, “তুই আমাদের ৮টি অস্ত্র দেখিয়ে দিয়েছিস, তোকে বাঁচতে দেব না।”
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত মিজানকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সামান্য জ্ঞান ফিরে পেয়ে হামলার বিবরণ দেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ওই এলাকায় ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই অভিযানে ‘সোর্স’ সন্দেহেই মিজানুরকে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতপক্ষে অভিযানে সহায়তাকারী ব্যক্তি ছিলেন আনসার ভিডিপির একজন সদস্য, মিজানুর নন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাশরুরুল হক বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক, তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”