
এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার ;
দুর্যোগকালীন সময়ে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন নারী ও কিশোরীরা। তাই প্রত্যন্ত জনপদে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিকল্প নেই। অনুকূল পরিবেশ পেলে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা এই নারীরাই গড়ে তুলতে পারেন দুর্যোগ সহনশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং হতে পারেন দিনবদলের দিশারি।
৩০ জুন শহরের একটি তারমানের হোটেলের হলরুমে আয়োজিত ‘দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবকাঠামোর প্রস্তুতি ও মূল্যায়ন’ শীর্ষক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক। তিনি বলেন, “নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তবে টেকসই স্বাস্থ্যসেবার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।”
সভায় জানানো হয়, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সদর, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে ‘উইমেন-লেড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবেলায় নারীর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে এই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়ন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রকল্পের সারমর্ম তুলে ধরেন পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের রেজিলিয়েন্স অফিসার ডা. মো. আশিক হাসান জিকো এবং মনিটরিং অফিসার মো. আরিফ খান।
এ সময় কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সদর, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মেডিকেল অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।