
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যারা জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, তারাই নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে।” তিনি আরও বলেন, দেশে নতুন রাজনৈতিক দল এলে তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দলকে গ্রহণ করবে বা বর্জন করবে। নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো হঠকারিতার কারণে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য যেন ব্যর্থ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।” নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমায়েত হন সারাদেশের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তাদের পদচারণায় এবং স্লোগানে মুখরিত হয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “সংস্কারের আড়ালে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হলে জনরোষ তৈরি হবে।” তিনি আরও বলেন, “৫৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সরকার বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে দেশ সংকটমুক্ত হবে।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “নূন্যতম সংস্কার করেই বর্তমান সরকারের নির্বাচন করতে হবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, নতুন দল গঠনের অজুহাতে নির্বাচন দেরি করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
বিএনপি নেতারা ছাত্রদলকে পড়ালেখার পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।