
আব্দুস সালাম, টেকনাফ ;
টেকনাফে মাদক, মানব পাচার, অপহরণ, চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র মজুদ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মোবাইল জুয়া, ইভটিজিং, দস্যুতা, রোহিঙ্গা সন্ত্রাস, হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাচার, করিডোর ও স্থলবন্দর বন্ধ, বৈধ ব্যবসা বন্ধ থাকা, শহরে নিরাপদ পানির সংকট, জলাবদ্ধতা, ভূমি দখল ও নর্দমা সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির ও হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিক উদ্দিন, টেকনাফ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান আহমদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জাহিদ আলম, চৌধুরী সাইফুল ইকবাল, পৌরসভা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহমদ, ইজারাদার খোরশেদ আলম, ডিজিএফআই প্রতিনিধি আব্দুল আলিম এবং টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও গিয়াস উদ্দিন ভুলুসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, টেকনাফ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের সীমান্তবর্তী পর্যটন উপজেলা। এখানে মাদক, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মানব পাচার রোধে বৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হলেও অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। ফলে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বৈধ স্থলবন্দর, করিডোর চালু, নাফ নদীর উত্তর অংশে মৎস্য আহরণ ও পর্যটন ব্যবসা সচল হলে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত হবে এবং অপরাধ কমবে।
তাঁরা আরও বলেন, অপরাধ দমনে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং অপরাধ দমনে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সভায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।