
বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যম ননা মিয়ার পাড়া, জামে মসজিদ এর জায়গা জোর খাঁটিয়ে জবর দখলে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। গত ২৪ মে সকাল ১১টার দিকে জায়গাটি দখল করা হয়। একই এলাকার আবুল বশরের ছেলে ভারুয়াখালী ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই একরাম মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, নবাব মিয়া, ছৈয়দ করিম, নাজির হোসেনের ছেলে আবুল বশর, মো. ইদ্রিছের ছেলে নাগু মিয়া প্রকাশ নাইগ্যা, নাগু মিয়ার ছেলে মো. জাহেদ, মৃত নুরুল হকের ছেলে সাদ্দাম, ছৈয়দুল হকের ছেলে ছৈয়দ নুর সহ ২০/২২ জনের একটি সিন্ডিকেট এলাকাবাসিকে জিম্মি করে বাঁশের গেরা দিয়ে দখলে এনে স্থাপনা নির্মানের পায়তারা শুরু করছেন। ওই সিন্ডিকেট দেশীয় ভারী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীদের ভয়-ভীতি করে উক্ত জায়গা দখলে নেয়। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. ফোরকান সহ মসজিদ’ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তার প্রতিবাদ করলে ওই দখলকারীরা আরও ‘বেপরোয়া হয়ে তাদেরকে মেরে লাশগুমের হুমকী দেয়। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. ফোরকান।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৩০ বছর পূর্বে ছৈয়দ আহমদ ও সাবের আহমন কক্সবাজার সদর থানাধীন ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যম ননা মিয়ার পাড়া জুমা মসজিদের নামে হেবা মুলে জায়গাটি প্রদান করেন। যার দলিল নং-২৬১৬, তারিখ-০৯/০৯/১৯৯০ইং। উক্ত বিষয়ে অপর মামলা নং-১০২/২০২৬ বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে। কিন্তু মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গত ২৪ মে সকাল ১১টার দিকে উল্লেখিত ব্যক্তিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/৯ জন সন্ত্রাসী হাতে লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মূলত জায়গাটি কক্সবাজার সদর থানাধীন ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যম নন্না মিয়ার পাড়া জুমা মসজিদ এর নামে হেবা মূলে প্রদানকৃত জমি। ভূমিদস্যুগং জোর পূর্বক জায়গাটি দখল করে টিনের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। উক্ত বিষয়ে মসজিদের সভাপতি সহ মসজিদ এর অন্যান্য সদস্য, মুসল্লিরা বাধা দিলে তাদের মারধর করার জন্য উদ্যত্ব এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে মসজিদ কমিটির সকলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করার প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। তাদের এমন কর্মকান্ডের ফলে মসজিদ কমিটির সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই ব্যাপারে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জোরদাবী জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সাদ্দাম যুবদলের সভাপতির ক্ষমতা দেখিয়ে এ সব অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তারা আরও জানান, ৫ আগষ্টের পর সাদ্দাম তার ভাইদের নিয়ে ভারুয়াখালীতে অরাজকতা সৃষ্টি করেই চলছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি, মো. ফোরকান জানান, এটি ৩০ বছর আগে হেবা মূলে পাওয়া মসজিদের জায়গা। কিন্তু যুবদলের প্রভাব খাঁটিয়ে আদালতে মামলা চলাকালিন সময়ে জোর করে উক্ত জায়গা দখলে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম জানান, এটি আমার ছোট ভাই একরামের ক্রয়কৃত জায়গা। হামলা এবং জায়গা জবর দখলের কথাটি তিনি অস্বীকার করেন।
জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান জানান, জায়গার বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি আইন শৃংখলার কোন ক্ষতি হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।