Wednesday, April 16, 2025
PalongTV OnlinePalongTV Online
Home Blog

রামু থানার সাবেক এস আই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

0

আবুল কাশেম, রামু:

কক্সবাজারের রামু থানার সাবেক এস আই (সাব ইন্সপেক্টর) শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ততা ও প্রবাসীর স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী স্বামী। যার মামলা নং- ৭০২/২৩।

জানা যায়, ২০২০ সালে পারিবারিক একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামু থানায় চুরির অভিযোগ দিতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরিচয় হয় রামু থানার এস আই শামসুল আরেফিন তোহার। এই পরিচয় থেকে দানা বাঁধে পরকিয়া প্রেমের। দীর্ঘ ১ বছর পরকিয়া প্রেম চলতে থাকে তাদের। প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে অভিযুক্ত এস আই শামসুল আরেফিন তোহা প্রায় সময় বাসা ভাড়া বাড়িতে যেতো। এছাড়াও প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননীকে নিয়ে কক্সবাজারের নানা জায়গায় ঘুরাঘুরি এবং হোটেলে রাত্রিযাপন করে। এক পর্যায়ে তাদের এই সম্পর্ক পরিবারে জানাজানি হয়ে গেলে রামু থানার সাবেক এস আই শামসুল আরেফিন তোহা প্রবাসীর ঘরে থাকা স্বর্নলংকার ও নগদ টাকা সহ প্রবাসীর স্ত্রী সহ পালিয়ে যায়।

স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দেশে ফিরে রামু থানার এস আই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে রামু আমলী আদালতে দায়িত্বরত সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা’র আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্বামী। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিটিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেয়ে তদন্তের রির্পোট জমা দেন আদালতে ।

অভিযুক্ত শামসুল আরেফিন তোহাকে আদালতে উপস্থিতির জন্য সমন জারি করে। গেলো সমনের নোটিশ পাওয়ার পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে সংশ্লিষ্ট আদালত।

বর্তমান অভিযুক্ত এস আই শামসুল আরেফিন তোহা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় এস আই এর দায়িত্বে কর্মরত আছেন।

তার নিজ বাড়ি চট্টগ্রাম বাঁশখালীর চেচুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড, ধৈলছড়ী এলাকার কেবি বাজার সংলগ্ন।

লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, লোহাগাড়া:

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুহাম্মদ রাকিব (২৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের উত্তর পাত্রিশা গ্রামের সাবেক মেম্বার লোকমানের নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাকিব বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার সরই পুলাং পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জানে আলম জানু মেম্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভবনের ছাদে লোহার রড উপরে তোলার সময় অসাবধানতাবশত রডটি বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের তারে লেগে গেলে রাকিব বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার পরপরই নিহতের মরদেহ পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।

লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জাহেদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে নিহতের মরদেহ লামা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বর্ষার আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ১৫০ পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাঁচটি ব্লক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরত পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন ও একটি বেসরকারি সংস্থা। গত বছর বর্ষাকালে পাহাড়ধসে প্রাণ হারিয়েছিল ৭ জন রোহিঙ্গা। চলতি বছরও একই ধরনের বিপদের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নতুন ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এনজিও ‘ছওয়াব’। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সংস্থাটি। বর্তমানে ক্যাম্প-১৪ এর ব্লক-ই-তে ১৫০টি শেল্টার নির্মাণের কাজ চলছে।

শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পটি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে অনুমোদন পায় (স্মারক নং- ০৩.০৭.২৬৬৬.৬৬৫.৬৮.০৫৭.২০-১১৪)। পরবর্তীতে ৩ মার্চ, ২০২৫ তারিখে RRRC এবং ৪ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সিআইসি’র অনুমোদন পাওয়া যায়। এছাড়া ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে প্রকল্পটি শেল্টার সেক্টর কর্তৃক জেআরপি (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান)-এর অধীনেও অনুমোদিত হয়।

‘ছওয়াব’ ক্যাম্প-১৪–এর ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ৩২২ পরিবারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫০ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ক্যাম্প ইনচার্জ ফারুক আল মাসুদ জানান, “ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরানো খুবই জরুরি। গত বর্ষায় ৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ বছর যাতে এমন না হয়, সে জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল যে ক্যাম্প-১৪-তে পাহাড় ও গাছ কেটে নতুন শেড নির্মাণ করা হচ্ছে, যা রোহিঙ্গাদের আগমনকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ব্লক ই-৩–তে কোনও গাছপালা বা পাহাড় ছিল না। এটি ছিল একটি খালি মাঠ, যেখানে আগে খেলাধুলা হতো। স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, এখানে কখনও গাছ লাগানো হয়নি।

তারা আরও বলেন, “গত বছর বর্ষায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে হাজার খানেক নারী-পুরুষকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।”

সংস্থাটির কক্সবাজার জেলা কো-অর্ডিনেটর আবু সাদাত আহমেদ নোহ জানান, “২০১৭ সাল থেকে ছওয়াব ক্যাম্পে কাজ করছে। ৩২২ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মধ্যে ১৫০ পরিবারকে বর্ষার আগেই নিরাপদ শেডে স্থানান্তরের কাজ চলছে। প্রায় চার মাস আগে থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। একটি মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে প্রকল্পের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে।”

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা পরিবারগুলো বর্ষার সময় অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয় পাবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যৌথ উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সৌদি আরবে গ্যাস বিস্ফোরণে রামুর দুই যুবকের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি

0

সোয়েব সাঈদ, রামু :
সৌদি আরবের তাবুক শহরে গাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার দুই যুবক। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে নিহতরা হলেন- রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পানিরছড়া গ্যারেজ থলিয়াঘোনা এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাকিল এবং একই ইউনিয়নের হামিরপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোক্তার আহমদের ছেলে সিফাত।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে- তাবুক শহরের একটি প্রাইভেটকারে গ্যাস লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। এতে শাকিল ও সিফাতসহ আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মাসুম দুই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- এখনো তাদের মৃতদেহ কোথায় দাফন হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
এদিকে পরিবারের সুখের আশায় সৌদি আরবে গিয়ে যুবক শাকিল ও সিফাতের মৃত্যতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারে চলছে স্বজনদের আহাজারি।

টেকনাফে নির্মাণাধীন ভবন থেকে অবিস্ফোরিত হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার

0

জাহাঙ্গীর শামস, কক্সবাজার:

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে একটি নির্মাণাধীন ভবনের খোলা জায়গা থেকে অবিস্ফোরিত একটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কোনার পাড়ায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে অবস্থিত ‘ওয়েভস পয়েন্ট লিমিটেড’ নামের নির্মাণাধীন ভবনের খোলা জায়গায় গ্রেনেডটি পাওয়া যায়।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “সকালে এক স্থানীয় ব্যক্তি ভবনের খোলা জায়গায় একটি অবিস্ফোরিত হ্যান্ড গ্রেনেড পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে এলাকা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলে।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রেনেডটি কোন দেশের তৈরি, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করবেন।”

কে বা কারা, কীভাবে গ্রেনেডটি সেখানে রেখে গেছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান ওসি গিয়াস উদ্দিন।

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়কারী যুবক গ্রেফতার

0

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মো. আশরাফুল আলম (২৩)-কে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। বুধবার (১৬ এপ্রিল ২০২৫) রাত আনুমানিক ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জে।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানায়, গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধানমন্ডির রোড নম্বর ২/এ, ইবনে সিনা হাসপাতালের বিপরীতে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

গ্রেফতারকৃত আশরাফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে আরও ৩-৪ জন সহযোগীসহ চার মাস ধরে ওই এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

আশরাফুলসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির ধানমন্ডি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত, আহত ৬

0

উখিয়া প্রতিনিধি;

মঙ্গলবার দুপুরে কুতুপালং পালং হাসপাতালের সামনে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।

সন্ধ্যায় থাইংখালীর ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শফিউল্লাহ কাটা এলাকায় সিএনজির ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়। নিহত শিশুর নাম মো. শাহেদ (১০), তিনি ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ/৩ ব্লকের ইউনুছের ছেলে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন: মো. ইলিয়াস (২৬), রাজনিকেল (১৭), অনুরাদা (১৮), স্বাধীন (১৯), ডিপজল (২৫) এবং আরও একজন, আরোও একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

উখিয়া শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আজিজ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগুলির পর গাড়িগুলি পালিয়ে গেলেও জড়িত গাড়িগুলো আটক করা হয়েছে। সড়ক পরিবহণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

টেকনাফে আরাকান আর্মির কাছ থেকে ৫৫ জেলে ফেরত আনল বিজিবি

0
ফিশিং ট্রলার

টেকনাফ প্রতিনিধি;

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সাগরে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া ৫৫ জন জেলেকে ফেরত এনেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া সংলগ্ন টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।

তবে, আরাকান আর্মি জেলেদের জাল ও বোট ফেরত দেয়নি। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিজিবির দীর্ঘ প্রচেষ্টায় জেলেদের ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে, তবে তাদের জাল এবং বোট এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।’

বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, ফেরত আনা জেলেদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পরে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, আটক হওয়া ৫৫ জেলের মধ্যে তার ছয় মাঝিমাল্লাও রয়েছে। তবে, আরাকান আর্মি তার বোট ও জাল ফেরত দেয়নি, যার মূল্য আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বিজিবির মাধ্যমে আটক আরও ৫৫ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো কীভাবে জাল ও বোট ফেরত আনা যায়।’

টেকনাফে পৃথক অভিযানে এক লাখ ইয়াবা জব্দ, আটক ১

0

টেকনাফ প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক দুই অভিযানে এক লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানের সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আসার গোপন সংবাদ পায় বিজিবি। এরপর বিজিবির বিভিন্ন টহলদল নাফ নদী ও তীরবর্তী এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে নদী সাঁতরিয়ে তীরে উঠার সময় এক পাচারকারীকে আটকে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

একই রাতে আরেকটি অভিযানে নাফ নদীতে নজরদারি বাড়ানো হয়। এতে বিজিবি সদস্যরা দেখতে পান, মিয়ানমার থেকে একটি সন্দেহজনক নৌকা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করছে। বিজিবি চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারীরা নৌকা ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।

পরে বিজিবির টহলদল নৌকাটি উদ্ধার করে টেকনাফ জেটিঘাটে নিয়ে আসে। তল্লাশির সময় নৌকার পাটাতনের নিচে লুকানো অবস্থায় আরও ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

বিজিবি জানায়, জব্দ ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রামুতে ৭ হাজার ৫০০ ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল আটক

0

সোয়েব সাঈদ, রামু:

কক্সবাজারের রামু থানার ওয়ারলেস অপারেটর (কনস্টেবল) জাহিদুল ইসলামসহ তিনজনকে ৭ হাজার ৫০০ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।

আটককৃতরা হলেন—
১. জাহিদুল ইসলাম (৩৩), রামু থানার ওয়ারলেস অপারেটর, পিতাঃ আব্দুল ওয়াদুদ খান, গ্রামঃ পাঙ্গাস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ।
২. অভিজিৎ চৌধুরী (৩৫), পিতাঃ বাবুল চৌধুরী, গ্রামঃ কমল মুন্সির হাট, কচুয়াই, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
৩. পূষন চৌধুরী (৩৭), পিতাঃ নান্টু চৌধুরী, গ্রামঃ বাইন্যারহাট, ডাবুয়া, রাউজান, চট্টগ্রাম।

সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা জানান, পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি মন্ডলপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির সামনে পার্ক করা প্রাইভেট কার থেকে ৭ হাজার ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বাসা থেকে ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং বিদেশি মদের খালি বোতলও জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ওই ভাড়া বাসাটি সৌদি প্রবাসী মুবারক হোসেনের স্ত্রী তসলিমা বেগমের মালিকানাধীন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।