Saturday, July 5, 2025
PalongTV OnlinePalongTV Online
Home Blog Page 7

কিশোরী অপহরণ : ৩ জনের যাবজ্জীবন

0

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কিশোরী অপহরণের মামলায় ৩ জন অপহরণকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জুন) কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ওসমান গণি এ রায় ঘোষণা করেন।

একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মীর মোশাররফ হোছাইন টিটু এ তথ্য জানিয়েছেন।

দন্ডিত আসামীদের পরিচয় :
জাফর আলম (২০), পিতা-মনির আহমদ প্রকাশ বাইট্যা, শফি আলম (২৫), পিতা-মনির আহমদ প্রকাশ মনু এবং বাবুইয়া (২৫), পিতা-হাছন আলী। তারা সকলেই কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্ব জোয়ারিয়া নালা গ্রামের বাসিন্দা। দন্ডিত আসামীরা সকলেই পলাতক রয়েছেন।

মামলার পটভূমি :
২০০৫ সালের ২২ মার্চ রাত দেড়টার দিকে দন্ডিত আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্ব জোয়ারিয়া নালা গ্রামের গোলাম হোছনের বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে গোলাম হোছনের ১৬ বছর কন্যা লায়লা বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতাকে আসামীরা বেদম মারধর করে। এ ঘটনায় দন্ডিত ৩ জন সহ ৪ অপহরণকারীকে আসামী করে গোলাম হোছন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার রামু থানা মামলা ২১, তারিখ : ২৩/০৩/২০০৫ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ৫০/২০০৫ (রামু)। যার নারী মামলা নম্বর : ৫০/২০১৮ ইংরেজি।

বিচার প্রক্রিয়া :
মামলাটি কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীদের পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য্য করা হয়। রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ওসমান গণি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৭/৩০ ধারায় আসামী জাফর আলম, শফি আলম এবং বাবুইয়াকে দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।

পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মীর মোশাররফ হোছাইন টিটু জানান, রাষ্ট্র পক্ষে তিনি আদালতের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরাতন ও স্পর্শকাতর মামলা গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্র পক্ষ ২০ বছর আগের এ মামলাটি বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শামীম জানান, দন্ডিত আসামরীরা পলাতক রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারকের প্রদত্ত রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দন্ডিত আসামীদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, দন্ডিত আসামীরা যেদিন গ্রেপ্তার হবেন অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন, সেদিন থেকে দন্ডের মেয়াদ শুরু হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
Abu Siddique

বান্দরবানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন কমিটি ঘোষণা

0

আবদুর রশিদ, বান্দরবান ;

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বান্দরবান জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত এক অনুমোদনপত্রে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী আলমগীর চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুহেনা মোস্তাফা কামাল (রুমু)। ২৪ সদস্যের এই কার্যনির্বাহী কমিটিতে জ্যেষ্ঠ ও তরুণ আইনজীবীদের সমন্বয় রাখা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি মনোনীত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদুল ইসলাম রুবেল, অ্যাডভোকেট উম্যাসিং মার্মা, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ ইসমাইল। সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মামুন মিয়া, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মো. আমিন উল্লাহ বিপ্লব। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহীম, অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসাইন এবং অ্যাডভোকেট রোশনী বিনতে জহুর।

অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন। প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজীব চন্দ্র ধর এবং সহ-প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সোয়াইবুল ইসলাম। মহিলা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মেনুসাং মার্মা।

কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক রনি, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন সম্রাট, অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, অ্যাডভোকেট আজিজুল হাকিম, অ্যাডভোকেট আজিজুল রহমান ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস তানিয়া, অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন ইরান এবং অ্যাডভোকেট মো. আলী জওহার।

নতুন কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এবং বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

কক্সবাজার সিটি কলেজে থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের ওরিয়েন্টেশন ও অভিনয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

0

🎭 থিয়েটার কেবল শিল্প নয়, জীবনের ভাষা

সিবিএন প্রতিবেদন:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কক্সবাজার সিটি কলেজের থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও অভিনয় বিষয়ক কর্মশালা ২৫ জুন ২০২৫ ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের ল্যাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী নাট্য-আয়োজনে প্রাণ সঞ্চার করেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের  অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন।

তাঁর নেতৃত্বে পুরো কর্মশালা পরিণত হয় এক মুগ্ধকর নাট্য-অভিজ্ঞতায়। নাটকের প্রকৃতি, অভিনয়ের মৌলিক দিক, শরীর ও বাচনভঙ্গি, মঞ্চ বাস্তবতা এবং নাট্যবিষয় নির্ধারণের দিক নিয়ে তিনি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও ব্যবহারিক অনুশীলনের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্বপন ভট্টাচার্য্য।  অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কলেজের  অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আকতার উদ্দিন চৌধুরী।  তিনি থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদী ভাবনা তুলে ধরেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান  মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এবং থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে কর্মশালাটি হয়ে ওঠে অনুশীলনভিত্তিক এক চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতা। অভিনয়ের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও শিল্প-সচেতনতা স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি পায়। কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

এই আয়োজনে প্রতিফলিত হয়েছে—থিয়েটার শুধু বিনোদন নয়, এটি আত্ম-অনুসন্ধান, মূল্যবোধের চর্চা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার এক শক্তিশালী মাধ্যম। ভবিষ্যতে থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগ নাট্যচর্চার এই ধারা অব্যাহত রেখে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে—এমন প্রত্যাশা সকলের।

স্বৈরাচার রুখতে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

0

সিবিএন প্রতিবেদন:
স্বৈরাচারী শাসনের উৎপত্তি বন্ধ করতে হলে দেশে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “সরকার ব্যবস্থা যদি সত্যিকার অর্থে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং তার মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করে, তাহলে স্বৈরাচারের উৎপত্তি থেমে যেতে পারে।”

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলেই রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে উঠবে না। আমাদের প্রয়োজন চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভা প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে, সে নিশ্চয়তা দিতে হবে। এটাই হচ্ছে ‘সেপারেশন অব পাওয়ার থিওরি’, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠন করতে হবে।”

রাষ্ট্রীয় সংস্কারে বিএনপির অবস্থান

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা বলেছি—একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটাই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ রোধের অন্যতম পথ। আমরা এমন সংস্কার চাই যাতে কোনো বিভাগের ক্ষমতা খর্ব না হয় বরং সেগুলো একে অপরের জন্য পাহারাদারের ভূমিকায় থাকে।”

তিনি বলেন, “সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এমপিদের গোপন ব্যালটে স্বাধীনভাবে ভোটদানের সুযোগের কথা বলেছি। এটা আরেকটি বিপ্লবের সূচনা।”

শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য সমন্বিত কাঠামো প্রয়োজন

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাহী বিভাগে কেউ স্বৈরাচার করেছিল বলে আজ আমরা সেই বিভাগ বিলুপ্ত করতে পারি না। সংসদীয় পদ্ধতিতে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল বলে আইনসভাকে দুর্বল করা যাবে না। বরং তিনটি বিভাগের মধ্যে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ না করেও পাহারা দিতে পারে। এটাই একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর ভিত্তি।”

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “আমরা এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা চাই, যেখানে গণতন্ত্রের মাধ্যমে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব হবে। সেজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক সংস্কার।”

ইমাম সমিতি কক্সবাজার জেলার পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত

0

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ইমাম সমিতি কক্সবাজার জেলার পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে উপদেষ্ট কমিটির প্রধান মাওলানা হাফেজ ছালামত উল্লাহ, মাস্টার শফি ও মাওলানা হোসেন।

কার্যকরী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী।

সহ সভাপতি হয়েছেন মুফতি এমদাদুল হাসান, মাওলানা আবদুর রহমান জিহাদী, মাওলানা জয়নাল আবেদিন, হাফেজ মোঃ শফি ও ছৈয়দ নুর ফারুকী।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হাফেজ আমানুল হক আমান।

সহ সম্পাদক এডভোকেট রিদওয়ান কাদের, মাওলানা মনির, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাওলানা ইউসুফ মক্কী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রুহুল মতিন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাহবুব উল্লাহ নোমানী, সহ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আমিনুল হক, প্রচার সম্পাদক হাফেজ সালেম।

সদস্য পদে রয়েছেন, হাফেজ আলী হায়দার, হাফেজ আবুল খাইর, হাফেজ সিরাজ উদ্দিন মঞ্জুর।

রামু কলেজ অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ দায়ের

0

রামু প্রতিনিধি;

রামু সরকারি কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কলেজ অধ্যক্ষ হাসানুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন ইয়াবা মামলায় জেল খাটা এক ব্যক্তি ফোরকান উল্লাহ। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অধ্যক্ষ।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছিলো, যা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতঘরিয়া পাড়ার বাসিন্দা ফোরকান উল্লাহ। অভিযোগ রয়েছে, তিনি একটি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করছেন।

ঘটনার দিন অধ্যক্ষ হাসানুল ইসলাম শিক্ষক ও সহকর্মীদের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে ছিলেন। এমন সময় ফোরকান উল্লাহ প্রথমে মোবাইলে গালাগাল করে ফোন কেটে দেন, পরে হঠাৎ কলেজ কক্ষে প্রবেশ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে কক্ষ থেকে সরিয়ে দেন।

কলেজের ভূমি সংরক্ষণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, “ফোরকান উল্লাহর সঙ্গে কলেজের কোনো জমির সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। ভূমিদস্যুদের একটি চক্র তাকে ভাড়াটে হিসেবে ব্যবহার করছে।”

আইসিটি বিভাগের প্রধান শহীদুল হক কাজল বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কক্ষে ঢুকে সন্ত্রাসী আচরণ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষক সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

অভিযুক্ত ফোরকান উল্লাহর বক্তব্যে দেখা গেছে অসঙ্গতি। তিনি একবার দাবি করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তার জায়গা দখল করছে; আবার বলেন, তিনি কেবল মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন। যদিও তিনি নিজে জমির মালিক নন, তবু আদালতে মামলার কথা উল্লেখ করে জানান, এখনো সেখানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

স্থানীয়রা জানান, একসময় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটা ফোরকান উল্লাহ বর্তমানে বিএনপির স্থানীয় নেতার পদ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে আগেও জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে এমন আচরণে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে।

লামায় অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ৩ সন্ত্রাসীকে পুলিশে দিল স্থানীয় জনতা

0
লামায় অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ৩ সন্ত্রাসীকে পুলিশে দিল স্থানীয় জনতা

সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম:

বান্দরবানের লামায় অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ৩ সন্ত্রাসীকে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকাল ৩টায় উপজেলার বাগান পাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয় তাদের।

আটককৃতরা হল রুমা বগালেক পুকুর পাড়া এলাকার নুচি অং এর ছেলে রহিম ত্রিপুরা(৩৮), লামা বাগান পাড়া এলাকার মনিন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে টানিয়াল ত্রিপুরা (৩৬) ও থানচি বড় মদক এলাকার মিখিয়া ত্রিপুরার ছেলে হালি রাম ত্রিপুরা (৩১)।

স্থানীয়রা জানায়,গতকাল বুধবার রাতে লামা উপজেলার মিরিঞ্জা এলাকার প্যারাডাইস রিসোর্ট থেকে ম্যানাজার আবদুল খালেক (২০) কে তুলে নিয়ে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান আবদুল খালেক। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলাকার লোকজন বাগান পাড়ার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী চালিয়ে অপহরণের সাথে জড়িত তিন পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

রেজুআমতলী সীমান্তে ৯০ হাজার ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক

0

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুআমতলী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৯০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে রেজুআমতলী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার হাজমপাড়ায় এ অভিযান চালানো হয়।

বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে বড় একটি মাদকের চালান রেজুআমতলী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর দেড়টার দিকে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর দুইজন নারী একটি ব্যাগ হাতে করে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। পালানোর চেষ্টা করলেও দুইজনকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয়।

আটক নারীরা হলেন মোছা. গোলজাহার (৩৩), স্বামী মৃত খাইরুল বাশার, ও মোছা. কুলছুমা (২৯), স্বামী কামাল হোসেন। তারা উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্লক-সি’র বাসিন্দা। তাদের বহন করা ব্যাগ তল্লাশি করে বিজিবি সদস্যরা ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তাদের থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান রোধে বিজিবির প্রতিটি টহল দল সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

হাইজিন প্রমোশন ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় আইন বিষয়ক সমন্বয় সভা

0

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন শহর, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন এবং সৈকতের স্ট্রিট ফুড উপভোগ করেন। কিন্তু এই সেক্টরে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার অভাব পর্যটকদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এই বাস্তবতা বিবেচনায়, কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত আরএমটিপি হেলদি স্ট্রিটফুড প্রকল্পের আয়োজনে “হাইজিন প্রমোশন ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় আইন” বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার পৌরসভা, মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট এবং স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের প্রতিনিধিগণ।

২৬ জুন সকালে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজার সৈকত এলাকায় স্ট্রিট ফুড বিক্রির মান উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিরাপদ উপায়ে খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশন এবং খাদ্য বিক্রয় আইনের সঠিক প্রয়োগ—এই চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে খাদ্য আইন ও বিক্রয়কারীদের দায়িত্ব—কর্তব্য ব্যাখ্যা করে বলা হয় নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৫ টি নিয়ম পালন করলে তারা স্থায়ী ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। জেলা প্রশাসন এবং বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং এবং সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন।

অন্যদিকে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জ যেমন— পর্যাপ্ত বিক্রয় স্থান না থাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের অভাব, এবং স্বাস্থ্যবান্ধব সরঞ্জামের সংকট—এই সব সমস্যা তুলে ধরেন। তারা জানান যে, সহায়ক পরিবেশ ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ পেলে তারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি করতে আগ্রহী এবং সচেষ্ট।

সভায় হাইজিন নিশ্চিত করতে অ্যাপ্রন, হেয়ার কভার, গ্লাভস, ডাস্টবিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে প্রস্তাব আসে, এবং বিক্রেতাদের আইনি রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার প্রাথমিক পরিকল্পনার কথাও আলোচিত হয়।
এই সমন্বয় সভাটি একদিকে যেমন সরকারি, বেসরকারি ও বিক্রেতা পর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সমঝোতা বৃদ্ধির একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে, তেমনি কক্সবাজারে একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্ট্রিট ফুড সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কমিউনিটি প্যারামেডিক অর্গানাইজেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি ঘোষণা

0

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
বাংলাদেশ কমিউনিটি প্যারামেডিক অর্গানাইজেশনের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তুহিন এবং নির্বাহী সদস্য সচিবমোঃ আশরাফুল আলম।

ঘোষণায় চট্টগ্রাম বিভাগের সকল কমিউনিটি প্যারামেডিক এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ বিরাজ করছে। নব ঘোষিত কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সিপি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক সিপি মোহাম্মদ হোছাইন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সিপি নাছির আহমদ আনোয়ার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আপনাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব, আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ঐকান্তিক মনোভাবের কারণে আজ আমরা একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এই কমিটি ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা ও প্যারামেডিক সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তারা আরও জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনায় তারা নিষ্ঠা, একতা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। পরিশেষে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সংগঠন ভবিষ্যতে দেশব্যাপী আরও কার্যকর ও সুসংগঠিত হয়ে উঠবে।